মাছের স্বাদ বাড়াতে ছাক তৈরির রেসিপি

বাংলাদেশে বেশ কিছু অঞ্চলে মাছ রান্নার সময় একটা বিশেষ ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয় যার নাম হচ্ছে ছাক। যেই মাছগুলো সাধারণত না ভেজে রান্না করা হয় বা শুধু কষিয়ে রান্না করা হয় সেই সমস্ত মাছে রান্নার শেষে এই ছাক বাটা ব্যবহার করা হয়। এতে করে রান্নার ফ্লেবারটাই বদলে যায় তাছাড়া যারা মাছ না ভেজে খেতে পারেন না মাছের একটি আঁশটে গন্ধের কারণে ছাক বাটা ব্যবহার করলে সেই গন্ধটাও পাওয়া যায় না। ছাক তৈরি করা খুবই সহজ। কিছু মসলা একত্রে তেলে ভেজে নিয়ে তারপর বেটে অথবা ব্লেন্ড করে সংরক্ষণ করা যায় বেশ কিছুদিন।

ছাক তৈরি করতে যা যা লাগবে : পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা দুটো, আস্ত জিরা হাফ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে একটি কড়াইতে পরিমান মত তেল নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি এবং তেজপাতা দিয়ে ব্রাউন করে ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ রসুন ব্রাউন হতে শুরু করলে জিরা দিয়ে দিতে হবে। সবকিছু খুব ভালোভাবে ব্রাউন হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠাণ্ডা করে পাটায় বেটে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিলেই ছাক তৈরি।

তৈরি করা ছাক ফ্রিজের নরমালে রেখে ৭ দিন এবং রেখে এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। আর সাধারনত ১ কেজি পরিমাণ মাছের ক্ষেত্রে বেত থেকে ২ টেবিল চামচ ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। আর চারটা ব্যবহার করতে হয় মাছটা একেবারে হয়ে গেলে নামানোর আগ দিয়। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেইসবুক পেইজে কাইক্কা মাছের রেসিপিতে পাবেন।

Daal Shobji Recipe

Very easy and quick way to cook Daal shobji. Daal shabji/bhaji is the most popular breakfast item in Dhaka. Feel free to add more or less ingredients according to your taste.

Little bit different than usual pumpkin recipe. Cooked with mustard oil and mixed with prawns which I call it Mustard pumpkin.

Ingredients : Pumpkins 400g, mustard oil 4 tbsp, garlic cloves 3-4 pcs, prawns medium size 8-10 pcs, crashed black pepper 1/2 tbsp,salt to taste, red & white onion paste 1/2 cup, chopped tomatoes 1 cup, salt to taste, turmeric powder 1/3 tsp , coriander powder 1/3 tsp, warm water 1 cup, green chilies to your taste , mustard, powder 1 & 1/2 tbsp, enough water to mix

Cooking method :

Step – 1 : Make some big and thick slices of butter Pumpkins to fry. Heat some mustard oil on a frying pan and fry sliced pumpkins until slightly soften on low heat. Add few pieces of smashed garlic in the oil to get some extra flavor while frying.

Remove pumpkins when done and keep them separate. You can take fried garlic out as well. Use the same pan and oil to cook the rest.

Step – 2 : Marinade some prawns with salt and pepper only. Then fry them in the same Pan and oil until they change the colour a little bit. Remove prawns and keep aside when done.

Step – 3 : Use same pan and oil. Add some red and brown onion paste, fry on a medium heat until raw smells are gone then add chopped tomatoes and salt. Cook until tomatoes are melted.

Add chili powder, turmeric powder, coriander powder and little bit of water so they don’t burn.

Saute in low heat until oil separates then add water as per your choice so pumpkins get covered by the water and cook thoroughly.

Add fried pumpkins and prawns once water starts bubbling up.

Add few pieces of green chilies as per your taste. Cover and cook until pumpkins are soft enough to eat

Just before end of your cooking take a small mixing bowl and add some mustard powder and water. mix them very well then add to the cooked gravy.

Cook for another minute then serve warm.

To find this recipe video please check our Facebook page and YouTube channel.

করোনা ভাইরাস – আসুন ভীত না হয়ে সচেতন হই

সারাবিশ্ব যেন হঠাৎ করে থমকে গিয়েছে। আতঙ্ক করোনা ভাইরাস, রূপ নিয়েছে এক মহামারীতে। করোনা ভাইরাস এর মত সমগোত্রীয় অন্যান্য ভাইরাসে মৃত্যুর হার বেশি হলেও করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর হার কম।

ভয়াবহতার মূল কারণ হচ্ছে সংক্রমণ। কোনভাবেই কমানো যাচ্ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। সংক্রমিত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সহজেই ঢুকে যাচ্ছে এই ভাইরাসটি আর এভাবেই এক ব্যক্তি থেকে পরিবার, পরিবার পরিবার থেকে প্রতিবেশী, প্রতিবেশী থেকে একটি এলাকা আর একটি এলাকা থেকে একটি বিশাল অঞ্চল সংক্রমিত হচ্ছে খুব সহজেই।

বিভিন্ন তথ্য মতে এই সংক্রমণের বড় একটি কারণ হচ্ছে এই ভাইরাসের ধরণ। কেউ সংক্রমিত হলে তার লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় লেগে যায় বেশ কয়েকদিন। তাই প্রতিরোধ করার উপায়টা জানা থাকলেও দেরি হয়ে যায় অনেকাংশেই আর সেই সাথে রয়েছে অনেকটাই আমাদের নিজেদের অসচেতনতা।

যেহেতু এই ভাইরাসটির এখনো কোন প্রকার প্রতিষেধক বের হয়নি তাই এটাকে প্রতিরোধ আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। আমাদের সচেতনতাই পারে এই ভাইরাস থেকে আমাদেরকে বাঁচাতে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ছাড়াও প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা প্রচার করে আসছে। সেই সকল নির্দেশনা মেনে চললেই কিন্তু আমরা এই ভাইরাস থেকে অনেকাংশেই আমাদেরকে রক্ষা করতে পারব।

করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে :

যথাসম্ভব জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। জোর দিতে হবে নিজের ও পরিবারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর। যেহেতু এই ভাইরাসটির চোখ নাক এবং মুখের মাধ্যমে শরীরে বেশি প্রবেশ করে তাই অপরিষ্কার বা অপরিচ্ছন্ন হাত দিয়ে চোখ নাক মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সব সময় মাস্ক ব্যবহার করে চলাফেরা করা উত্তম যদিও এই ব্যাপারে বেশ কয়েকটি মতামত পাওয়া যায়। সেই সাথে হাতে গ্লাভস পরলে সংক্রমণের ঝুঁকি টা কিছুটা হলেও কমবে। সাবান বা জীবাণুনাশক দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন এবং হাত ধোয়ার সময় কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় নিন।

হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করা উত্তম। এতে করে আপনার কাছ থেকে অন্যরা নিরাপদ থাকবে। আপনি যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এলাকা বা ব্যক্তির সংস্পর্শে থেকে থাকেন এবং সুস্থ থাকেন তাহলে আপনার উচিত হবে এটা নিশ্চিত হওয়া যে আপনিও একই ভাইরাসে আক্রান্ত নন এবং আপনার মাধ্যমে যেন এই ভাইরাসটি অন্যের মাধ্যমে ছড়াতে না পারে। আর এই জন্য আপনার স্বাস্থ্য কর্মীর কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশনা গুলি মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনার সচেতনতা অন্যের জীবন বাঁচাতে সক্ষম।

ভাইরাসের লক্ষণ আপনার মধ্যে প্রকাশ পেলে যেমন হাঁচি-কাশি সাথে জ্বর মাথাব্যথা এবং মাংসপেশিতে ব্যথা এই সমস্ত দেখা গেলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

একটি বিষয় যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখা যায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের অধিকাংশই বৃদ্ধ। তরুণ এবং শিশুদের মৃত্যুবরণ করার হার একেবারেই কম। এর পিছনে যে কারণটি ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই খাদ্য তালিকায় এমন সব খাবার রাখার চেষ্টা করুন যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।

এছাড়া প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সংস্থা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার ব্যাপারে বিভিন্ন রকম প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছে যেগুলো মেনে চললে এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে আমরা আমাদের নিজেদেরকে এবং পরিবারকে এবং সেই সাথে সমাজ ও দেশকে রক্ষা করতে পারবো।

তাই আসুন ভীত না হয়ে সচেতন হই আপনার এবং আমার সচেতনতাই পারবে এই ভাইরাসের প্রকোপ হতে এই বিশ্বকে রক্ষা করতে।

কুসুম ছাড়া ডিম ভুনা

যদি ডিমের কুসুম খেতে মানা অথবা পছন্দ করেন না তারা কুসুম ছাড়া ডিম ভুনা করে খেতে পারবেন এখন খুব সহজেই।

উপকরণ:
ডিম ৮টা। পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ। আদা বাটা ১ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ। হলুদের গুঁড়া ১ চা-চামচ। জিরার গুঁড়া হাফ চা চামচ। ১ চা-চামচ ধনিয়ার গুড়া। টমেটো দুইটি। কিউব করে কাটা আলু ২ টি। পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপের ৪ ভাগের এক ভাগ। গরম মসলার গুঁড়া হাফ চা চামচ। তেজপাতা একটি। গোটা গরম মসলা। লবণ পরিমাণমতো এবং তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী:
প্রথমে টমেটো দুটো ছিলে ব্লেন্ড করে আলাদা করে রাখুন। ডিম খুব ভালোভাবে সেদ্ধ করে কেটে কুসুম গুলো বের করে নিন। তারপর ডিমের সাদা অংশ গুলো আপনার পছন্দমত ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এবার একটি কড়াইতে পরিমান মত তেল দিয়ে ডিমের সাদা অংশগুলোকে একটু ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে ডিমগুলো তুলে রাখতে হবে। এরপর তেলের মধ্যে একটা তেজপাতা এবং আস্ত গরম মসলা দিয়ে গরম মসলার ঘ্রান আসা পর্যন্ত ভাজতে হবে।

এবার তেলের মধ্যে একে একে পেঁয়াজবাটা, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুড়া এবং পেস্ট করে রাখা টমেটো দিয়ে খুব ভালোভাবে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে কিউব করে রাখা আলুগুলো দিয়ে এবং সামান্য পানি এড করে রান্না করতে হবে আলু নরম হয়ে আসা পর্যন্ত।

আলু নরম হয়ে আসলে ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে দিতে হবে এবং মিনিট খানেক রান্না করার পর পেঁয়াজ বেরেস্তা ভেঙে উপরে ছড়িয়ে দিয়ে সাথে গরম মসলার গুঁড়া অ্যাড করে ভালোভাবে মিশিয়ে রান্না করতে হবে আরও মিনিট খানেক।

গরম ভাত ছাড়াও পরোটা, রুটি বা নানের সাথে খুব সহজেই পরিবেশন করতে পারবেন এই খাবারটি। আর যারা কুসুম খেতে পারেন তারা কুসুম ভেঙে ছড়িয়ে দিতে পারেন পরিবেশনের সময়।

এই রান্নার ভিডিও ইজি রেসিপি এর ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজে দেয়া আছে।

কোল্ড কফি রেসিপি

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ কোল্ড কফি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গরমের দিনে কোল্ড কফির দোকানগুলোতে একটু ভিড় লেগে যায়।

বিভিন্ন রকমের কোল্ড কফি দোকান গুলোতে পাওয়া যায় তার মধ্যে থেকে আজকে খুব সাধারনটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

উপকরণ:
লিকুইড দুধ হাফ কেজি। ইনস্ট্যান্ট কফি পাউডার তিন চা চামচ। চিনি স্বাদমতো। চকলেট সিরাপ 3 টেবিল চামচ। ভ্যানিলা আইসক্রিম ৩ টেবিল চামচ। চকলেট পাউডার ১ টেবিল চামচ। পাউডার দুধ ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী:
লিকুইড দুধ প্রথমে ফ্রিজে রেখে জমিয়ে বরফ বানিয়ে নিতে হবে। এরপর কোন কিছুর সাহায্যে দুধের বরফ ভেঙে নিতে হবে অথবা কুচি করে নিতে হবে। এবার দুধের বরফ কুচি একটি ব্লেন্ডারের মধ্যে দিয়ে একে একে এসব কিছু এড করে ব্লেন্ড করলেই চকলেট ফ্লেভারে কোল্ড কফি তৈরি।

গ্লাসে ঢালার পূর্বে চকলেট সিরাপ দিয়ে গ্লাসটি সাজিয়ে নিন এবং কফি দেয়ার পর কিছু চকলেট পাউডার ছড়িয়ে দিন। কোল্ড কফির একটি রেসিপি ভিডিও ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ এ দেয়া আছে।

পুরান ঢাকার গোলগোলা রেসিপি

পুরান ঢাকায় যারা বড় হয়েছেন তারা গোলগোলা নামটার সাথে হয়তো অনেকেই পরিচিত। বিশেষ করে সকালের পর দুপুরের আগে স্ন্যাকস হিসেবে চায়ের সাথে এটি খাওয়া হয়। বানানো অনেক সহজ তাই রেসিপিটি শেয়ার করছি।

উপকরণ:
আটা আড়াই কাপ। মৌরি বা মিষ্টি জিরা বা সফ হাফ চা চামচ। বেকিং সোডা হাফ চা চামচ। চিনি হাফ কাপ। ইস্ট এক চা চামচ। লবণ চিমটি পরিমাণ।

প্রণালী:
প্রথমে হাফ কাপ কুসুম গরম পানির মধ্যে একটা চামচ ইস্ট এবং ১ চা চামচ চিনি দিয়ে খুব ভালোভাবে গুলিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে ইস্ট অ্যাক্টিভেট হওয়ার জন্য। ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

এরপর একটি মিক্সিং বোলে আটা মৌরি চিনি লবণ দিয়ে প্রথমে শুকনো উপকরণ গুলো খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর ইস্ট মেশান পানি ঢেলে দিতে হবে এবং খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এই পরিমাণ উপকরনে আরো কিছু পানি এড করে একটা ঘন ব্যাটার তৈরি করতে হবে। ব্যাটার খুব বেশি ঘন হবে। আর ব্যাটার তৈরি হয়ে গেলে এটাকে রেখে দিতে হবে এক ঘন্টার জন্য।

এক ঘন্টা পর হাতে ব্যাটার নিয়ে গোল করে ডুবো তেলে ছাড়তে হবে এবং ব্রাউন হওয়া পর্যন্ত ভেজে তুলে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাটারের ধরণ এবং গরম তেলে ছাড়ার প্রসেসটা আপনাকে একবার দেখে নিতে হবে তাছাড়া এটি বাড়িতে তৈরি করতে সমস্যা হতে পারে। এজন্য ইজি রিসিপে ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেইজে পুরো ভিডিওটা না দেখে নিতে পারবেন।

মেথি দিয়ে রুই মাছের ভুনা

মেথি দিয়ে রুই মাছের তরকারি খেতে কিন্তু দারুণ লাগে বিশেষ করে যারা মেথি খেতে পছন্দ করেন। অনেকেই মনে করেন মেথি দিলে রান্নাটা তেতো হয়ে যেতে পারে কিন্তু পরিমাণমতো মেথি ব্যবহার করলে তা তেতো করবে না বড়জোর রান্নার ফ্লেভারটা বদলে দেবে।

মেথি দিয়ে রুই মাছের রেসিপি শেয়ার করছি।

উপকরনঃ
রুই মাছ ৩০০ গ্রাম। মেথি ১ চা-চামচ। পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ। আদা বাটা হাফ চা চামচ। রসুন বাটা হাফ চা চামচ। ধনিয়ার গুড়া ১ চা চামচ। জিরা গুড়া ১ চা চামচ। মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ। হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ। লবণ পরিমাণমতো তেল পরিমাণমতো।

প্রণালীঃ
প্রথমে মেথি ঘন্টাখানেক ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একটি কড়াইতে পরিমান মত তেল নিয়ে গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হয়ে আসলে তার মধ্যে মেথি ছেড়ে দিতে হবে। যখন মেথি ফ্লেভারটা বের হয়ে আসবে তখন এর মধ্যে অ্যাড করতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি এবং নরম করে ভেজে নিতে হবে।

পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে একে একে সব মসলা দিয়ে দিতে হবে এবং সামান্য পানি অ্যাড করে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে মাছগুলোকে খুব ছোট ছোট টুকরা করে মসলায় দিয়ে দিতে হবে।

এবার মাছগুলো মসলার সাথে মিনিট দুয়েক কষিয়ে তারপর পরিমাণমতো পানি অ্যাড করতে হবে মাছ সেদ্ধ হওয়ার জন্য। যেহেতু মাছগুলো ভুনা ভুনা হবে তাই পানির পরিমাণটা আন্দাজ করে দিতে হবে। রান্নাটা শেষ হয়ে আসলে কয়েকটা কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে দিতে হবে ফ্লেভারের জন্য।

এই রান্নার ভিডিও ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে দেয়া আছে।

খুব সহজেই নারিকেল কাটুন নিজের পছন্দ মত করে

নারিকেল কোরানি দিয়ে সহজেই নারিকেল কোরানো যায়। কিন্তু অনেক সময় এই নারিকেল বিভিন্ন রকম আকার দিয়ে কাটতে গেলে বিপত্তি বাধে। যেমন ধরা যাক নারিকেলের চিপস তৈরি করবেন। অথবা নারিকেল গুলো নুডুলস এর মত কাটতে হবে। তখন কিন্তু নারিকেল কোরানি ব্যবহার করে সহজেই এই কাজটা করা যায় না। এর জন্য আপনারা চাইলে ভিন্ন একটি পন্থা অবলম্বন করতে পারেন যেটা খুবই সহজ।

একটা নারিকেল নিয়ে নারিকেল টা ফুটো করে তারপর ভেতর থেকে সব পানি বের করে দিতে হবে। এরপর ওই ফুটো দিয়ে একটি রোড বা স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে গ্যাসের আগুনে অল্প আঁচে চতুর্দিক দিয়ে খুব ভালোভাবে পুড়তে হবে যতক্ষণ না নারিকেল টা ফেটে আসে। অথবা ১০ থেকে ১৫ মিনিট পুড়তে হবে।

এরপর আগুন থেকে নামিয়ে নারিকেলটাকে দুই থেকে তিন মিনিট সময় দিতে হবে একটু ঠান্ডা হওয়ার জন্য। এবার একটি হাতুড়ি বা শক্ত কিছুর সাহায্যে নারিকেলের মধ্যে বাড়ি দিলেই খেয়াল করবেন নারিকেলের খোসাটা নারিকেল থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে পুরো নারিকেলের খোসা থেকে নারিকেল বের করে নিয়ে একটা ভেজিটেবল গ্রেটার দিয়ে উপরের কালো অংশটা ফেলে দিতে পারবেন।

এবার আপনি হ্যান্ড গ্রেটার অথবা ভেজিটেবল পিলার অথবা ছুরি দিয়ে আপনার পছন্দমত নারিকেল প্রসেস করে নিন।

এই সংক্রান্ত পুরো ভিডিওটা ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে দেয়া আছে।

চিকেন কিমা টিকিয়া কাবাব

খুব সহজ আর খেতে মজার এমন একটি চিকেন টিকিয়া কাবাব এর রেসিপি শেয়ার করছি।

উপকরণ:
চিকেন কিমা হাফ কেজি। ধনিয়া গুড়া হাফ টেবিল চামচ। ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়া। হাফ টেবিল চামচ মরিচের গুঁড়া। আদা বাটা হাফ টেবিল চামচ। রসুন বাটা হাফ টেবিল চামচ। টমেটো সস ২ টেবিল-চমচ। সয়া সস ২ টেবিল চামচ। গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ। জায়ফল গুঁড়া ১ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ। জয়ত্রী গুঁড়া ১ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ। পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ। ধনেপাতা কুচি হাফ কাপ। ব্রেডক্রাম প্রয়োজনমতো। সয়া সস ২ টেবিল চামচ। ডিম তিনটা। লবণ পরিমাণমতো এবং ভাজার জন্য তেল।

প্রণালী:
প্রথমে একটি মিক্সিং বোলে কিমা নিয়ে তার মধ্যে হলুদ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, আদা বাটা, রসুন বাটা, টমেটো সস, সয়া সস এবং পরিমাণমতো লবণ দিয়ে কিমা খুব ভালোভাবে মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিতে হবে কমপক্ষে আধা ঘন্টার জন্য।

এই ফাঁকে দুইটা ডিম লবণ দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তারপর ঝুরা ঝুরা করে ভেজে তুলে আলাদা করে রাখতে হবে।

আধাঘন্টা পর বাকি মসলাগুলো এবং পেঁয়াজ কুচি, ব্রেডক্রাম, একটা ডিম ভেঙে দিয়ে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। সবকিছু একবার মাখানো হয়ে গেলে ঝুরা ঝুরা করে ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে আরেকবার মাখিয়ে নিতে হবে।

এরপর কিমা কাবাবের মত শেপ করে গরম তেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে গেল চিকেন টিকিয়া কাবাব।

বাড়িতে যদি আপনারা এগুলোকে সংরক্ষণ করতে চান তাহলে কাঁচা পেঁয়াজের পরিবর্তে ভাজা পেঁয়াজ ব্যবহার করতে হবে। এবং অর্ধেক ভেজে তারপর ঠাণ্ডা করে কোন এয়ার টাইট বক্সের মধ্যে ভরে ডিপফ্রিজে এক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। ফ্রিজ থেকে নামানোর পর নরমাল করে ভেজে নিলেই হবে।

এই রান্নার ভিডিওটি ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে দেয়া আছে।

কাঁচা মরিচ ভাজি খেয়েছেন কখনো?

কাঁচা মরিচ ভাজি খেয়েছেন কখনো? অনেক অঞ্চলে ক্ষেতে কাঁচা মরিচ যখন ফুরিয়ে আসে তখন মাঠে অন্য ফসল লাগানোর জন্য কৃষকরা গাছগুলি তুলে ফেলে।

সেই সময় দেখা যায় কাঁচা মরিচের গাছে অনেক কাঁচা মরিচ থেকে যায়। কাঁচা মরিচ গুলিকে বিক্রি না করে অনেক সময় এগুলোকে ভাজি করে খাওয়া হয়।

এমন একটি রেসিপি শেয়ার করছি।

উপকরণ:
কাঁচা মরিচ একশ থেকে দেড়শ গ্রাম। পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ। এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ হলুদগুঁড়া। রসুন বাটা ১ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ। ডিম একটা । পেঁয়াজ পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ। লবণ পরিমাণ মত। ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী:
প্রথমে মরিচগুলো মাঝখান থেকে ফালি করে এর ভেতরের বীজগুলো বের করে ফেলতে হবে। এরপর একটি ফ্রাইং প্যানে পরিমান মত তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ ভেজে নরম করে নিতে হবে। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে অ্যাড করতে হবে মরিচ রসুন এবং হলুদের গুড়া। সেই সথে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে মিনিট দুয়েক ভেজে নিতে হবে। দুই মিনিট পর একটি ডিম ফেটিয়ে প্যানের মাঝখানে দিয়ে ঝুরা ঝুরা করে ভেজে নিতে হবে। ডিম ভাজা হয়ে গেলে ধনেপাতা কুঁচি এবং পেঁয়াজপাতা কুচি দিয়ে সবকিছু খুব ভালোভাবে মাখিয়ে আরো মিনিট দুয়েক রান্না করতে হবে।

ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজার স্বাদের কাঁচা মরিচ ভাজি। যারা প্রচন্ড পরিমানে ঝাল খেতে পারেন তাদের এটা ভালো লাগবে।

এই রান্নার ভিডিও ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজে দেয়া আছে।