মাছের স্বাদ বাড়াতে ছাক তৈরির রেসিপি

বাংলাদেশে বেশ কিছু অঞ্চলে মাছ রান্নার সময় একটা বিশেষ ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয় যার নাম হচ্ছে ছাক। যেই মাছগুলো সাধারণত না ভেজে রান্না করা হয় বা শুধু কষিয়ে রান্না করা হয় সেই সমস্ত মাছে রান্নার শেষে এই ছাক বাটা ব্যবহার করা হয়। এতে করে রান্নার ফ্লেবারটাই বদলে যায় তাছাড়া যারা মাছ না ভেজে খেতে পারেন না মাছের একটি আঁশটে গন্ধের কারণে ছাক বাটা ব্যবহার করলে সেই গন্ধটাও পাওয়া যায় না। ছাক তৈরি করা খুবই সহজ। কিছু মসলা একত্রে তেলে ভেজে নিয়ে তারপর বেটে অথবা ব্লেন্ড করে সংরক্ষণ করা যায় বেশ কিছুদিন।

ছাক তৈরি করতে যা যা লাগবে : পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা দুটো, আস্ত জিরা হাফ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে একটি কড়াইতে পরিমান মত তেল নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি এবং তেজপাতা দিয়ে ব্রাউন করে ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ রসুন ব্রাউন হতে শুরু করলে জিরা দিয়ে দিতে হবে। সবকিছু খুব ভালোভাবে ব্রাউন হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠাণ্ডা করে পাটায় বেটে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিলেই ছাক তৈরি।

তৈরি করা ছাক ফ্রিজের নরমালে রেখে ৭ দিন এবং রেখে এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। আর সাধারনত ১ কেজি পরিমাণ মাছের ক্ষেত্রে বেত থেকে ২ টেবিল চামচ ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। আর চারটা ব্যবহার করতে হয় মাছটা একেবারে হয়ে গেলে নামানোর আগ দিয়। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেইসবুক পেইজে কাইক্কা মাছের রেসিপিতে পাবেন।

কুসুম ছাড়া ডিম ভুনা

যদি ডিমের কুসুম খেতে মানা অথবা পছন্দ করেন না তারা কুসুম ছাড়া ডিম ভুনা করে খেতে পারবেন এখন খুব সহজেই।

উপকরণ:
ডিম ৮টা। পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ। আদা বাটা ১ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ। হলুদের গুঁড়া ১ চা-চামচ। জিরার গুঁড়া হাফ চা চামচ। ১ চা-চামচ ধনিয়ার গুড়া। টমেটো দুইটি। কিউব করে কাটা আলু ২ টি। পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপের ৪ ভাগের এক ভাগ। গরম মসলার গুঁড়া হাফ চা চামচ। তেজপাতা একটি। গোটা গরম মসলা। লবণ পরিমাণমতো এবং তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী:
প্রথমে টমেটো দুটো ছিলে ব্লেন্ড করে আলাদা করে রাখুন। ডিম খুব ভালোভাবে সেদ্ধ করে কেটে কুসুম গুলো বের করে নিন। তারপর ডিমের সাদা অংশ গুলো আপনার পছন্দমত ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এবার একটি কড়াইতে পরিমান মত তেল দিয়ে ডিমের সাদা অংশগুলোকে একটু ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে ডিমগুলো তুলে রাখতে হবে। এরপর তেলের মধ্যে একটা তেজপাতা এবং আস্ত গরম মসলা দিয়ে গরম মসলার ঘ্রান আসা পর্যন্ত ভাজতে হবে।

এবার তেলের মধ্যে একে একে পেঁয়াজবাটা, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুড়া এবং পেস্ট করে রাখা টমেটো দিয়ে খুব ভালোভাবে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে কিউব করে রাখা আলুগুলো দিয়ে এবং সামান্য পানি এড করে রান্না করতে হবে আলু নরম হয়ে আসা পর্যন্ত।

আলু নরম হয়ে আসলে ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে দিতে হবে এবং মিনিট খানেক রান্না করার পর পেঁয়াজ বেরেস্তা ভেঙে উপরে ছড়িয়ে দিয়ে সাথে গরম মসলার গুঁড়া অ্যাড করে ভালোভাবে মিশিয়ে রান্না করতে হবে আরও মিনিট খানেক।

গরম ভাত ছাড়াও পরোটা, রুটি বা নানের সাথে খুব সহজেই পরিবেশন করতে পারবেন এই খাবারটি। আর যারা কুসুম খেতে পারেন তারা কুসুম ভেঙে ছড়িয়ে দিতে পারেন পরিবেশনের সময়।

এই রান্নার ভিডিও ইজি রেসিপি এর ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজে দেয়া আছে।

কোল্ড কফি রেসিপি

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ কোল্ড কফি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গরমের দিনে কোল্ড কফির দোকানগুলোতে একটু ভিড় লেগে যায়।

বিভিন্ন রকমের কোল্ড কফি দোকান গুলোতে পাওয়া যায় তার মধ্যে থেকে আজকে খুব সাধারনটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

উপকরণ:
লিকুইড দুধ হাফ কেজি। ইনস্ট্যান্ট কফি পাউডার তিন চা চামচ। চিনি স্বাদমতো। চকলেট সিরাপ 3 টেবিল চামচ। ভ্যানিলা আইসক্রিম ৩ টেবিল চামচ। চকলেট পাউডার ১ টেবিল চামচ। পাউডার দুধ ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী:
লিকুইড দুধ প্রথমে ফ্রিজে রেখে জমিয়ে বরফ বানিয়ে নিতে হবে। এরপর কোন কিছুর সাহায্যে দুধের বরফ ভেঙে নিতে হবে অথবা কুচি করে নিতে হবে। এবার দুধের বরফ কুচি একটি ব্লেন্ডারের মধ্যে দিয়ে একে একে এসব কিছু এড করে ব্লেন্ড করলেই চকলেট ফ্লেভারে কোল্ড কফি তৈরি।

গ্লাসে ঢালার পূর্বে চকলেট সিরাপ দিয়ে গ্লাসটি সাজিয়ে নিন এবং কফি দেয়ার পর কিছু চকলেট পাউডার ছড়িয়ে দিন। কোল্ড কফির একটি রেসিপি ভিডিও ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ এ দেয়া আছে।

পুরান ঢাকার গোলগোলা রেসিপি

পুরান ঢাকায় যারা বড় হয়েছেন তারা গোলগোলা নামটার সাথে হয়তো অনেকেই পরিচিত। বিশেষ করে সকালের পর দুপুরের আগে স্ন্যাকস হিসেবে চায়ের সাথে এটি খাওয়া হয়। বানানো অনেক সহজ তাই রেসিপিটি শেয়ার করছি।

উপকরণ:
আটা আড়াই কাপ। মৌরি বা মিষ্টি জিরা বা সফ হাফ চা চামচ। বেকিং সোডা হাফ চা চামচ। চিনি হাফ কাপ। ইস্ট এক চা চামচ। লবণ চিমটি পরিমাণ।

প্রণালী:
প্রথমে হাফ কাপ কুসুম গরম পানির মধ্যে একটা চামচ ইস্ট এবং ১ চা চামচ চিনি দিয়ে খুব ভালোভাবে গুলিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে ইস্ট অ্যাক্টিভেট হওয়ার জন্য। ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

এরপর একটি মিক্সিং বোলে আটা মৌরি চিনি লবণ দিয়ে প্রথমে শুকনো উপকরণ গুলো খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর ইস্ট মেশান পানি ঢেলে দিতে হবে এবং খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এই পরিমাণ উপকরনে আরো কিছু পানি এড করে একটা ঘন ব্যাটার তৈরি করতে হবে। ব্যাটার খুব বেশি ঘন হবে। আর ব্যাটার তৈরি হয়ে গেলে এটাকে রেখে দিতে হবে এক ঘন্টার জন্য।

এক ঘন্টা পর হাতে ব্যাটার নিয়ে গোল করে ডুবো তেলে ছাড়তে হবে এবং ব্রাউন হওয়া পর্যন্ত ভেজে তুলে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাটারের ধরণ এবং গরম তেলে ছাড়ার প্রসেসটা আপনাকে একবার দেখে নিতে হবে তাছাড়া এটি বাড়িতে তৈরি করতে সমস্যা হতে পারে। এজন্য ইজি রিসিপে ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেইজে পুরো ভিডিওটা না দেখে নিতে পারবেন।

মেথি দিয়ে রুই মাছের ভুনা

মেথি দিয়ে রুই মাছের তরকারি খেতে কিন্তু দারুণ লাগে বিশেষ করে যারা মেথি খেতে পছন্দ করেন। অনেকেই মনে করেন মেথি দিলে রান্নাটা তেতো হয়ে যেতে পারে কিন্তু পরিমাণমতো মেথি ব্যবহার করলে তা তেতো করবে না বড়জোর রান্নার ফ্লেভারটা বদলে দেবে।

মেথি দিয়ে রুই মাছের রেসিপি শেয়ার করছি।

উপকরনঃ
রুই মাছ ৩০০ গ্রাম। মেথি ১ চা-চামচ। পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ। আদা বাটা হাফ চা চামচ। রসুন বাটা হাফ চা চামচ। ধনিয়ার গুড়া ১ চা চামচ। জিরা গুড়া ১ চা চামচ। মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ। হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ। লবণ পরিমাণমতো তেল পরিমাণমতো।

প্রণালীঃ
প্রথমে মেথি ঘন্টাখানেক ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একটি কড়াইতে পরিমান মত তেল নিয়ে গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হয়ে আসলে তার মধ্যে মেথি ছেড়ে দিতে হবে। যখন মেথি ফ্লেভারটা বের হয়ে আসবে তখন এর মধ্যে অ্যাড করতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি এবং নরম করে ভেজে নিতে হবে।

পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে একে একে সব মসলা দিয়ে দিতে হবে এবং সামান্য পানি অ্যাড করে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে মাছগুলোকে খুব ছোট ছোট টুকরা করে মসলায় দিয়ে দিতে হবে।

এবার মাছগুলো মসলার সাথে মিনিট দুয়েক কষিয়ে তারপর পরিমাণমতো পানি অ্যাড করতে হবে মাছ সেদ্ধ হওয়ার জন্য। যেহেতু মাছগুলো ভুনা ভুনা হবে তাই পানির পরিমাণটা আন্দাজ করে দিতে হবে। রান্নাটা শেষ হয়ে আসলে কয়েকটা কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে দিতে হবে ফ্লেভারের জন্য।

এই রান্নার ভিডিও ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে দেয়া আছে।

খুব সহজেই নারিকেল কাটুন নিজের পছন্দ মত করে

নারিকেল কোরানি দিয়ে সহজেই নারিকেল কোরানো যায়। কিন্তু অনেক সময় এই নারিকেল বিভিন্ন রকম আকার দিয়ে কাটতে গেলে বিপত্তি বাধে। যেমন ধরা যাক নারিকেলের চিপস তৈরি করবেন। অথবা নারিকেল গুলো নুডুলস এর মত কাটতে হবে। তখন কিন্তু নারিকেল কোরানি ব্যবহার করে সহজেই এই কাজটা করা যায় না। এর জন্য আপনারা চাইলে ভিন্ন একটি পন্থা অবলম্বন করতে পারেন যেটা খুবই সহজ।

একটা নারিকেল নিয়ে নারিকেল টা ফুটো করে তারপর ভেতর থেকে সব পানি বের করে দিতে হবে। এরপর ওই ফুটো দিয়ে একটি রোড বা স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে গ্যাসের আগুনে অল্প আঁচে চতুর্দিক দিয়ে খুব ভালোভাবে পুড়তে হবে যতক্ষণ না নারিকেল টা ফেটে আসে। অথবা ১০ থেকে ১৫ মিনিট পুড়তে হবে।

এরপর আগুন থেকে নামিয়ে নারিকেলটাকে দুই থেকে তিন মিনিট সময় দিতে হবে একটু ঠান্ডা হওয়ার জন্য। এবার একটি হাতুড়ি বা শক্ত কিছুর সাহায্যে নারিকেলের মধ্যে বাড়ি দিলেই খেয়াল করবেন নারিকেলের খোসাটা নারিকেল থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে পুরো নারিকেলের খোসা থেকে নারিকেল বের করে নিয়ে একটা ভেজিটেবল গ্রেটার দিয়ে উপরের কালো অংশটা ফেলে দিতে পারবেন।

এবার আপনি হ্যান্ড গ্রেটার অথবা ভেজিটেবল পিলার অথবা ছুরি দিয়ে আপনার পছন্দমত নারিকেল প্রসেস করে নিন।

এই সংক্রান্ত পুরো ভিডিওটা ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে দেয়া আছে।

চিকেন কিমা টিকিয়া কাবাব

খুব সহজ আর খেতে মজার এমন একটি চিকেন টিকিয়া কাবাব এর রেসিপি শেয়ার করছি।

উপকরণ:
চিকেন কিমা হাফ কেজি। ধনিয়া গুড়া হাফ টেবিল চামচ। ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়া। হাফ টেবিল চামচ মরিচের গুঁড়া। আদা বাটা হাফ টেবিল চামচ। রসুন বাটা হাফ টেবিল চামচ। টমেটো সস ২ টেবিল-চমচ। সয়া সস ২ টেবিল চামচ। গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ। জায়ফল গুঁড়া ১ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ। জয়ত্রী গুঁড়া ১ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ। পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ। ধনেপাতা কুচি হাফ কাপ। ব্রেডক্রাম প্রয়োজনমতো। সয়া সস ২ টেবিল চামচ। ডিম তিনটা। লবণ পরিমাণমতো এবং ভাজার জন্য তেল।

প্রণালী:
প্রথমে একটি মিক্সিং বোলে কিমা নিয়ে তার মধ্যে হলুদ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, আদা বাটা, রসুন বাটা, টমেটো সস, সয়া সস এবং পরিমাণমতো লবণ দিয়ে কিমা খুব ভালোভাবে মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিতে হবে কমপক্ষে আধা ঘন্টার জন্য।

এই ফাঁকে দুইটা ডিম লবণ দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তারপর ঝুরা ঝুরা করে ভেজে তুলে আলাদা করে রাখতে হবে।

আধাঘন্টা পর বাকি মসলাগুলো এবং পেঁয়াজ কুচি, ব্রেডক্রাম, একটা ডিম ভেঙে দিয়ে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। সবকিছু একবার মাখানো হয়ে গেলে ঝুরা ঝুরা করে ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে আরেকবার মাখিয়ে নিতে হবে।

এরপর কিমা কাবাবের মত শেপ করে গরম তেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে গেল চিকেন টিকিয়া কাবাব।

বাড়িতে যদি আপনারা এগুলোকে সংরক্ষণ করতে চান তাহলে কাঁচা পেঁয়াজের পরিবর্তে ভাজা পেঁয়াজ ব্যবহার করতে হবে। এবং অর্ধেক ভেজে তারপর ঠাণ্ডা করে কোন এয়ার টাইট বক্সের মধ্যে ভরে ডিপফ্রিজে এক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। ফ্রিজ থেকে নামানোর পর নরমাল করে ভেজে নিলেই হবে।

এই রান্নার ভিডিওটি ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে দেয়া আছে।

কাঁচা মরিচ ভাজি খেয়েছেন কখনো?

কাঁচা মরিচ ভাজি খেয়েছেন কখনো? অনেক অঞ্চলে ক্ষেতে কাঁচা মরিচ যখন ফুরিয়ে আসে তখন মাঠে অন্য ফসল লাগানোর জন্য কৃষকরা গাছগুলি তুলে ফেলে।

সেই সময় দেখা যায় কাঁচা মরিচের গাছে অনেক কাঁচা মরিচ থেকে যায়। কাঁচা মরিচ গুলিকে বিক্রি না করে অনেক সময় এগুলোকে ভাজি করে খাওয়া হয়।

এমন একটি রেসিপি শেয়ার করছি।

উপকরণ:
কাঁচা মরিচ একশ থেকে দেড়শ গ্রাম। পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ। এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ হলুদগুঁড়া। রসুন বাটা ১ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ। ডিম একটা । পেঁয়াজ পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ। লবণ পরিমাণ মত। ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী:
প্রথমে মরিচগুলো মাঝখান থেকে ফালি করে এর ভেতরের বীজগুলো বের করে ফেলতে হবে। এরপর একটি ফ্রাইং প্যানে পরিমান মত তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ ভেজে নরম করে নিতে হবে। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে অ্যাড করতে হবে মরিচ রসুন এবং হলুদের গুড়া। সেই সথে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে মিনিট দুয়েক ভেজে নিতে হবে। দুই মিনিট পর একটি ডিম ফেটিয়ে প্যানের মাঝখানে দিয়ে ঝুরা ঝুরা করে ভেজে নিতে হবে। ডিম ভাজা হয়ে গেলে ধনেপাতা কুঁচি এবং পেঁয়াজপাতা কুচি দিয়ে সবকিছু খুব ভালোভাবে মাখিয়ে আরো মিনিট দুয়েক রান্না করতে হবে।

ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজার স্বাদের কাঁচা মরিচ ভাজি। যারা প্রচন্ড পরিমানে ঝাল খেতে পারেন তাদের এটা ভালো লাগবে।

এই রান্নার ভিডিও ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজে দেয়া আছে।

বাবুর্চির রেসিপিতে জালি কাবাব রেসিপি

বিয়ে বাড়ির খাবার মানেই একটু বাড়তি কিছু। পোলাও রোস্ট রেজালা ছাড়াও অনেক সময় দুই ধরনের কাবাব পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে জালি কাবাব।

বিয়ে বাড়িতে রান্না করে থাকেন এমন একটি বাবুর্চির কাছ থেকে রেসিপিটি নিয়ে শেয়ার করা হলো।

উপকরন:
খাসির মাংসের কিমা কিমা ৪০০ গ্রাম। আদা বাটা ১ চা-চামচ। রসুন বাটা হাফ চা চামচ। টমেটো সস ২ টেবিল চামচ। মরিচের গুঁড়া হাফ চা চামচ। দারচিনির গুঁড়া হাফ চা চামচ। সাদা গোলমরিচের গুঁড়া হাফ চা চামচ। এলাচ গুঁড়া হাফ চা চামচ। জয়ত্রী গুঁড়া এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ। মিহি করা পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ। মরিচের কুচি স্বাদমতো। ধনেপাতা কুচি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ। ডিম তিনটা। পাউরুটির স্লাইস দুইটা। টোস্ট বিস্কুটের গুড়া হাফ কাপ। লবণ পরিমাণমতো। ভাজার জন্য তেল।

প্রণালী:
একটি মিক্সিং বোলে মাংসের কিমা এবং সকল মসলা নিয়ে নিতে হবে। সেই সাথে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি এবং ধনেপাতা কুচি দিতে হবে। একটা ডিম ভেঙ্গ দিয়ে দিতে হবে। পাউরুটি স্লাইস গুলো প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর চিপে পানি ফেলে দিয়ে অ্যাড করতে হবে। টোস্ট বিস্কুটের গুড়া অ্যাড করতে হবে। এরপর সবকিছু ভালোভাবে মেখে দেখতে হবে এটাকে কাবাবের মত আকার দেওয়া যায় কিনা। যদি না যায় তাহলে আরো কিছু বিস্কুটের গুঁড়া অ্যাড করে নিতে হবে।

অন্য একটি পাত্রে ডিম ভেঙ্গে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর মসলা মাখানো মাংসগুলো কাবাবের সেপ দয়ে ডিমে চুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে।

এই রেসিপির ভিডিও ইজি রেসিপি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজে দেয়া আছে।

চিকেন মিনি বারগার রেসিপি

ইদানিং বার্গারের ধরনটা বদলে গিয়েছে। মাংসের তৈরি বার্গার বদলে ইদানিং জনপ্রিয় হয়েছে মাংসের টুকরা দিয়ে তৈরি করা বার্গার। আজকে এমন একটি চিকেন বার্গার এর রেসিপি শেয়ার করছি।

উপকরণ:
দেড় কেজি সাইজের একটি মুরগির মাংস হাড় ছাড়া। টক দই হাফ কাপ। আদা বাটা হাফ টেবিল চামচ। রসুন বাটা হাফ টেবিল চামচ। হাফ টেবিল চামচ ধনিয়ার গুড়া। ১ চা-চামচ গরম মসলার গুঁড়া। হলুদের গুঁড়া হাফ টেবিল চামচ। মরিচের গুঁড়া হাফ টেবিল চামচ। সয়া সস ২ টেবিল চামচ। হট চিলি সস ২ টেবিল চামচ। কালো গোল মরিচের গুঁড়া হাফ চা চামচ। লবণ পরিমাণমতো । তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী:
প্রথমে একটি মিক্সিং বোলে মাংস এবং সকল মসলা একসাথে মাখিয়ে ম্যারিনেট হতে রেখে দিতে হবে তিন ঘন্টার জন্য। তিন ঘন্টার পর মাংসের মধ্যে এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ সয়াবিন তেল অ্যাড করতে হবে। আবারো খুব ভালোভাবে মিশিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে মাংস গুলো খুব ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।

মাংসগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে একটি ফ্রাইং প্যান এ বার্গার বান মাঝখান থেকে কেটে দুই টুকরা করে শেকে গরম করে নিতে হবে। এরপর বানের মধ্যে পছন্দ মতো মেওনিস টমেটো ক্যাচাপ অথবা সস মাখিয়ে তার ওপর রান্না করা মাংসের টুকরা দিয়ে দিতে হবে। চাইলে উপরের চীজ ব্যবহার করা যেতে পারে। তৈরি হয়ে গেল ইদানিংকালের জনপ্রিয় চিকেন বার্গার অথবা চিকেন মিনি বার্গার।

এই রান্নার ভিডিও ইজি রেসিপি চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে দেয়া আছে।